সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার অন্তর্গত উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বনপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রব (জনপ্রিয় নাম হকির আলী), পিতা মৃত চান মিয়া ওরফে মখা—এর বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপথে ভারত থেকে চোরাপথে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য দেশে এনে স্থানীয় বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
অবাক করার বিষয় হচ্ছে, একাধিকবার মাদকসহ আটক হওয়ার পরও তিনি রহস্যজনকভাবে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেছেন। স্থানীয়দের মতে, এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের ছায়া ও প্রশাসনিক দুর্বলতা। তার মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, ফলে তাকে অনেকে ‘কিশোর জ্ঞানের গডফাদার’ হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন।
তবে এখানেই শেষ নয়—আব্দুর রবের বিরুদ্ধে রয়েছে নদী ও পরিবেশবিধ্বংসী বালু ও পাথর উত্তোলনের অভিযোগও। অনুমোদনবিহীনভাবে দিনের পর দিন তিনি নদী থেকে বিপুল পরিমাণ বালু-পাথর উত্তোলন করে তা বিক্রি করছেন, যার ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে মারাত্মক ভাঙন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষিজমি, বসতভিটা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও কৃষকদের অভিযোগ, আব্দুর রব দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছেন। কেউ তার কথার অবাধ্য হলে হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এলাকায় ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছেন তিনি, কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
এ প্রসঙ্গে এক প্রবীণ গ্রামবাসী বলেন, “তার মতো মানুষের কারণে আমরা দিনের পর দিন আতঙ্কে থাকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।”
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় এমন কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড নেই, যেখানে তার হাত নেই। আমরা যেন তার হাতে জিম্মি হয়ে আছি।”
অতিষ্ঠ জনগণ অবিলম্বে আব্দুর রব ওরফে হকির আলীকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন, র্যাব এবং জেলা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।